অ্যান্ড্রয়েড ফোন হারিয়ে গেলে কী করবেন


image_86701_0 (1)

প্রিয় অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেলে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় আছে? নতুন একটা সেট না হয় কেনা গেল কিন্তু আগের সেটের প্রয়োজনীয় ড্যাটাগুলো তো আর পাবেন না। এখন কী আর করা হা-হুতাশ ছাড়া! কিন্তু না, আপনার প্রিয় ডিভাইসটির চুরি ঠেকাতে পারেন সহজেই। আর চুরি হয়ে গেলেও চোর ধরতে পারবেন অনায়াসে! এর জন্য কিছু অ্যাপস এবং টিপস জানা থাকলেই চলবে।

এ কৌশল ব্যবহার করার আগে নিশ্চিত হোন আপনার ডিভাইসে জিপিএস সিস্টেম চালু এবং জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করা আছে কি না।

১. অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার
এই অ্যাপসটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে বিল্টইন থাকে। অ্যাপসটি অ্যাকটিভ করতে Settings -> Security -> Device Administrators -> Android Device Manager.

এই অ্যাপস দিয়ে আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকেই রিমোটকন্ট্রোলারের মতো ডিভাইসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ডিভাইস চুরি গেলে কোনো ল্যাপটপে বা যে কোনো স্মার্ট ডিভাইসে জিমেইলে লগইন করুন। এরপর প্রথমে গুগল ম্যাপে গিয়ে জিপিএসের মাধ্যমে আপনার ফোনটি ট্র্যাক করুন। নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোনটি এখান থেকেই লক করে দিতে পারেন। এমনকি ফোনে সব ড্যাটা মুছে ফেলতে পারেন। তারপর অ্যালার্ম সেট করতে পারেন যা পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর ফুল ভলিউমে বাজবে।

২. হোয়ারস মাই ড্রোয়েড
প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এর ব্যবহার ঠিক Android Device Manager এর মতোই। তবে এতে কিছু বাড়তি সুবিধা আছে-

*সিম কার্ড পরিবর্তন করলে মেইলে নোটিফিকেশন আসবে

*চুরির পর ব্যবহারকারীর যে কোনো লেখা আপনার কাস্টম কোড ওয়ার্ড/ফ্রেজ দিয়ে গোপন করতে পারবেন

*সক্রিয় ফিচারগুলোতে কে কে লিখতে পারবে তার একটা কাস্টম লিস্ট তৈরি করতে পারবেন

* ব্যবহারকারীর অজান্তেই ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে পারবেন অথবা ফ্ল্যাশ অ্যাকটিভ করতে পারবেন।

*টেক্সট পাঠিয়ে বা কম্পিউটার থেকেই ফোন লক করুন

*একই কৌশলে ফোনের ম্যামরি মুছে ফেলুন

৩. অ্যাভাস্ট মোবাইল সিকুরিটি অ্যান্ড অ্যান্টি ভাইরাস
এই অ্যাপসটি স্মার্টফোনকে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি থেকে শুধু নিরাপদই রাখবে না ফোন ট্র্যাকিংয়েও কাজে লাগবে। সাথে পাবেন ফায়ারওয়াল। তবে প্রিমিয়াম ভার্সন পেতে প্রতি মাসে দুই ডলার দিতে হবে।

এর সুবিধাগুলো হলো- রিমোট লক, তিনবার পাসওয়ার্ড ভুল করলে স্থায়ী লক, রিমোট ক্যামেরা, ফিচার ব্যাকআপ এবং অন্য ডিভাইস বা কম্পিউটার থেকে টেক্সট পাঠানো। ভলো গতি পেতে হলে অবশ্যই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অ্যাকসেস থাকতে হবে।

৪. এয়ারড্রোয়েড
অন্যগুলোর চেয়ে এটাই বেশি জনপ্রিয়। ফোনে ড্যাটার নিরাপত্তা, ফোন ট্র্যাকিং, চোরের ছবি তোলাসহ সব সুবিধা এতে পাওয়া যায়।

বাড়তি সুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ফোনের কল লগে ঢুকতে পারবেন এবং পরিচিতদের মেসেজ দিয়ে সতর্ক করতে পারবেন যে ফোনটি আর আপনার হাতে নেই। আপনি যদি রুট ইউজার হন তাহলে স্ক্রিন শট ফাংশনের মাধ্যমে চোরের পরিচয় অথবা অবস্থান শনাক্ত করতে পারবেন।

৫. অ্যান্ড্রয়েড লস্ট এবং স্টিলদজিনি
স্মার্টফোনটিকে আপনি স্মার্টঘড়ি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এ সুবিধা অবশ্য স্যামসাং গ্যালাক্সি গিয়ার, কোয়ালকম টক, পেবল, সনি স্মার্টওয়াচ ২- এসবেই শুধু পাবেন।

চুরি ঠেকাতে বা চোর ধরতে পুরাতন কিছু কৌশলও নিতে পারেন- ফোনের ড্যাটার ব্যাকআপ রাখুন সব সময়, আর জটিল কোনো পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোনটি অন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নিরাপদে রাখুন।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান